রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
মো. জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ): চুনারুঘাটে কৃষিজ উৎপাদন দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। “খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে একটু জমিও যেন অনাবাদি না থাকে ঘরের কোনায় হলেও কিছু ফলান, ফলমূল আবাদ করুন” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অনুশাসন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ মোহাম্মদ কামরুল হাসান এর নির্দেশনা মোতাবেক চুনারুঘাট উপজেলায় এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদী পড়ে না থাকে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগ চুনারুঘাট এর সমন্বিত উদ্যোগে রোববার দক্ষিণ নরপতি, চুনারুঘাটে পতিত জমিতে সাজনা, পেয়ারা এবং লেবু চারা রোপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ কৃষিবিদ মোঃ তমিজ উদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চুনারুঘাট সত্যজিত রায় দাশ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, চুনারুঘাট মোঃ জালাল সরকার।
এ সময় উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে একযোগে সকল পতিত জমিতে ফলন নিশ্চিত করতে মেগা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করতে ইতোমধ্যে ভিডিও বার্তায় আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি হবিগঞ্জ জেলার সকল সচেতন মহলকে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া প্রদান করে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান। এই সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল সরকার বলেন, চুনারুঘাট উপজেলায় সকল পতিত জমিকে চিহ্নিত করে আমরা ভূমি মালিককে মৌসুমী শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূল এর গাছ লাগাতে উৎসাহ প্রদান করছি। উপজেলা প্রশাসনের সাথে উপজেলা কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাব।
এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন কার্যকর করে পতিত জমিতে আবাদের পরিকল্পনা গ্রহণে কৃষকের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ ও কৃষি উপকরণ হিসেবে সেল্ফ অপারেটিং হারভেস্টার চুনারুঘাট উপজেলা কমপ্লেক্সে কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চুনারুঘাট বলেন চুনারুঘাট উপজেলায় কৃষি উৎপাদন গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন এবং কৃষিবিভাগ সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সকল কৃষকে এবং ভূমি মালিকের আন্তরিক অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভবপর হবে।